সরকারী নির্দেশ মেনে স্বাস্থ‍্য বিধির দিকে নজর রেখে খুলল বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ মন্দির

1st June 2020 বাঁকুড়া
সরকারী নির্দেশ মেনে স্বাস্থ‍্য বিধির দিকে নজর রেখে খুলল বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ মন্দির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  খুললো মন্দিরের দরজা, স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলছে পুজো অর্চনা। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের তীরে এক্তেশ্বরে অবস্থিত বহু প্রাচীন শিবের মন্দির এক্তেশ্বর মন্দির। গত ২২ মার্চ থেকে জনতা কারফিউ দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ। মন্দিরের মূল দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধুমাত্র প্রতিদিন মন্দিরের পুজো ভোগ নিবেদন করতেন পূজারীরা। প্রায় দু মাসের বেশি সময়  ধরে বন্ধ ছিল ভক্তদের প্রবেশ। দীর্ঘ সময় পর সরকারি নির্দেশ মেনে মন্দিরের দরজা খুলল মন্দির কর্তৃপক্ষ। সকাল ছয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির। আজ সকাল থেকেই শিবের দর্শন পেতে ও পুজো দিতে হাজির ভক্তরা।  সাধারণ মানুষের মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের মূল প্রবেশ পথে ভক্তদের হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার।  থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া হচ্ছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি থাকলে সেই সব ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না মন্দিরের ভিতরে। মূল মন্দিরের  বাইরে পুজো মন্ত্র পাঠের পর পূজারীরা ভক্তদের মন্দিরের গর্ভগৃহে বাবা এক্তেশ্বর এর দর্শন করতে নিয়ে যাচ্ছেন। গর্ভগৃহে জাতে ভিড় না হয় একে একে ভক্তরা যাতে দর্শন করতে পারেন সেজন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

দীর্ঘদিন পর সাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ায় খুশি ভক্তরা। আজ সকাল থেকেই এক্তেশ্বর মন্দিরে বাবা এক্তেশ্বর এর পুজো দিয়ে করোনা  থেকে মুক্তির আর্জি ভক্তদের। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।